নিজস্ব প্রতিবেদকবৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১, সকাল ৫:২৪ সময়0622
ছবি,মাহবুবুল আলম মনি
নিজস্ব প্রতিবেদক :
ক্ষমতার দাপট আর অর্থবিত্ত বৈভবের প্রভাবে বিশেষ কোন কারন ছাড়াই ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মাহবুবুল আলম মনিকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। গতকাল দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া গতকাল আরো চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতারা হলেন কামরুজ্জামান,জুয়েল,রানা দে ও শরীফ। এদের সবাইকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে এ হামলার জন্য গতকাল সকাল ৯টা থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত কর্মবিরতি পালন করেছেন হাসপাতালের চিকিৎসকরা। দায়ের হওয়া মামলা সূত্রে জানা যায়,গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মাহবুবুল আলম মনি হাসপাতালের নম্বরে ফোন দেন। মনি তার বাসায় গিয়ে তার মায়ের করোনা উপসর্গের নমুনা আনার জন্য বলেন।এ সময় হাসপাতালে জরুরি বিভাগে ডিউটি করছিলেন ডা.এ এইচ এম সালেহীন মামুন। ডা. মামুন জানান,এখন বাসায় গিয়ে নমুনা আনার নিয়ম নেই। তিনি যেন রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। এ কথা বলার কিছুক্ষণ পর যুবলীগ নেতা মনি ক্ষিপ্ত হয়ে তার ক্যাডারবাহিনী নিয়ে মহড়া দিতেদিতে হাসপাতালে প্রবেশ করেন।অশ্লীল,অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে মনি ও তার সহযোগীরা,এহেন গালিগালাজ জানে মেরে ফেলার হুমকি ধামকি দিতে থাকেন গোটা হাসপাতালের কর্তব্যরতদের । এক পর্যায়ে তারা চিকিৎসক ডা. মামুনকে সামনে পেয়ে মারধর করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে চিকিৎসকদের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে । ঐ রাতেই এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানায় মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ রাতেই উপজেলা যুবলীগ সভাপতি,মনিকে গ্রেপ্তার করে। ঘটনার সূত্রপাত ও সত্যতা জানতে চাইলে মুক্তাগাছা থানার ওসি দুলাল আকন্দ বলেন,অভিযোগের সত্যতা শতভাগ রয়েছে । ইতিমধ্যে প্রধান অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলমান। এদিকে আলোচিত ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার সর্ম্পকে জানতে চাইলে,মুক্তাগাছা উপজেলার নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে এ প্রতিবেদককে জানান,মনি ছেলেটা অনেক বেয়াদব,রংবাজী,চাঁদাবাজীসহ একাধিক অভিযোগ তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে । ঐ সাঙ্গপাঙ্গদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলতে চাননা । এই ধরনের ঘটনা আমাদেরকে ব্যাথিত করেছে । এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত,তাদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি ।